শেখ হাসিনা কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন?
আপলোড সময় :
০৪-১০-২০২৪ ০৩:১৬:৫৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-১০-২০২৪ ০৩:১৬:৫৮ অপরাহ্ন
ফাইল ফটো
বাংলা স্কুপ, ৪ অক্টোবর:
জাতীয় নির্বাচন কবে হবে? সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? এসব প্রশ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ জোরেসোরে আলোোচিত হচ্ছে। এর মধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানালেন, শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৩ আক্টোবর) প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। শেখ হাসিনার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জয় বলেন, তাঁর নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মা বেশ বিচলিত এবং হতাশ। গত ১৫ বছরে তার সমস্ত কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, কোটা আন্দোলনে আমরা সবাই অবাক হয়েছি। আমি নিজেও চেয়েছিলাম কোট সংস্কার হোক। আমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেছিলাম, ৩০% কোটা অনেক বেশি, তা কমিয়ে ৫% করা উচিত। তখন কেউ কেউ চিৎকার করে বলল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি। তখন আমি মজা করে বলেছিলাম, ‘এ কারণেই আমি ৫% ছেড়ে দিয়েছি।’
নির্বাচনে নিজের অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার কখনই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কে জানে? আমি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।
এর আগে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের এক সাক্ষাতকারে ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে সেনাবাহিনী বলছে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ১৮ মাস। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো নভেম্বরে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এমন পরিস্থিতে আপনার জন্য ১৮ মাস সময় পর্যাপ্ত কিনা।
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ এই সংখ্যাগুলো ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। যত মাস বা বছর প্রয়োজন জনগণ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছে যে এটি দ্রুত করা উচিত, কারণ আপনি যদি দীর্ঘ এবং দীর্ঘায়িত করেন তাহলে আপনি অজনপ্রিয় হবেন এবং সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। আবার কেউ কেউ বলছে, না, আপনাকে সংস্কার শেষ করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি তারা এক বছর বা ১৮ মাস দেশ চালাতে চায়, তাহলে আমি বলব এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে পাঁচশতাধিক মানুষ নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার। যে কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। এ ব্যাপারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? এটা আইনত সম্ভব নয়।
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স